এম এম লিংকন: [৩] দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনিত পোিলং এজেন্টদের উদেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ভোটের দিন  ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ কি না দেখে নিতে হবে। সকালে স্বচ্ছ বাক্স ও  ব্যালট বুঝে নিতে পোলিং এজেন্টদের আহ্বান জানান তিনি। তবে ব্যালট বাক্স দুই থেকে চারদিন আগেই যাবে। 

[৪] বিএনপি অংশ গ্রহণ করলে নির্বাচনটা আরো ভালো হতো বলেও মন্তব্য করেন সিইসি। তবে, বিএনপি ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা ভোটের পরেই বুঝা বলে জানান তিনি। 

[৩[ সোমবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ সব কথা বলেন তিনি। 

[৪] এর আগে সকালে এক পরিপত্র জারি করে ইসি জানায়, ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে। 

[৫] এই প্রথম ভোটের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাচ্ছে এমন বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা অনেকের দাবি ছিল। ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাওয়ায় স্বচ্ছতা বাড়বে।

[৬] সকালে ব্যালট যাওয়ার ফলে ফেয়ারনেস নিয়ে সংশয় থাকল কিছুটা হ্রাস হবে দাবি করে তিনি বলেন, আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যতদূর সম্ভব ভোটগ্রহণ শুরুর আগে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। যেগুলো দুর্গম-দূরবর্তী, হাওর-বাঁওড় এলাকা অথবা যেখানে জলপথে যেতে হয় সেখানে পাঠানো সম্ভব হবে না। এছাড়া দ্বীপাঞ্চলেও সম্ভব হবে না। এই জন্য একটা পরিপত্র জারি করেছি ব্যালট পেপার ভোটগ্রহণের পূর্বে সকালে যাওয়া প্রসঙ্গে। দূরবর্তী হলে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।

[৭] দূরবর্তী এলাকায় সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব হবে না প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা আমাদের কাছে অনুমোদন গ্রহণ করবেন, যেগুলো সম্ভব হবে না অর্থাৎ রিমোট এলাকা। আমাদের বিচার-বিবেচনা করেই তাদের প্রস্তাব অনুমোদন করে দেবো। তাছাড়া যতদূর সম্ভব ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে যাবে।

[৮] নির্বাচনে আন্তজার্তিক চাপ আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বারবার একটি শব্দ শুনি চাপ চাপ চাপ। যেটা হলো সব দেশ আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমাদের ডোনার কান্ট্রিজগুলো দেখতে চাচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের তরফ থেকেও আমরা বলেছি যে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু হবে। 

[৯] যারা নির্বাচনে আসছে না তারা তো প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা দেখা যাক, আমরা সেজন্য বলেছি তাদের প্রতি সকলেরই আহ্বান। প্রতিহত যদি উনারা করতে চান সেটা সেটা উনাদের ব্যাপার। পলিটিক্যালি স্ট্র্যাটিজি। সেটার ব্যাপারে আমরা কোনো বক্তব্য দেব না। আমরা চাইবো ইলেকশনটা পিসফুলি হোক।

[১০] সিইসি জানান, জাপান অবজার্ভেশন টিম পাঠাবে। তাদের কিছু সদস্য আসবেন জাপান থেকে আর বাকিরা বাংলাদেশে জাপান অ্যাম্বাসি থেকে স্টাফরাও অবজারভার হিসেবে কাজ করবে। মনোনয়নপত্র জমা, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আমরা তাদেরকে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছি। সম্পাদনা: ইকবাল খান